প্রকাশিত: ১৭/১১/২০১৭ ১০:৪৫ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:৫৯ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
হোলি আর্টিজান হামলার পর দেশে বিদেশি নাগরিক আসা কমে গেলেও সে অবস্থা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে। শুধু রোহিঙ্গা ইস্যুতেই গত আড়াই মাসে বিভিন্ন দেশের তিন হাজারের বেশি নাগরিক ঘুরে গেছে কক্সবাজার। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন সাড়ে আটশোরও বেশি বিদেশি নাগরিক।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৮শ ৫৭ জন বিদেশী নাগরিক কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় অবস্থান করছেন। এর মধ্যে কক্সবাজার সদরে রয়েছেন ৪শ ২৯ জন। এছাড়া মহেশখালী উপজেলার মাতাবাড়িতে ১০৩ জন, চকরিয়ার মালুমঘাটে ৪৩ জন এবং বিদেশী বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার আরো ২শ ৮২ জন টেকনাফ-উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছেন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, ‘প্রত্যেকটা হোটেলের সিকিউরিটি ম্যানেজারকে আমরা বলেছি তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। বিদেশিদের নিরাপত্তার জন্য যা যা করনীয় আমরা তা করে যাচ্ছি।’

২০১৬ সালের পহেলা জুলাই রাজধানীর ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশে সফরের ক্ষেত্রে তাদের নাগরিকদের প্রতি বিশেষ সতর্কতা জারি করে। এতে বাংলাদেশে বিদেশীদের আসার পরিমাণও অনেকটা কমে যায়। তবে রোহিঙ্গা ইস্যু সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে দিয়েছে। গত ২৫ আগস্টের পর থেকে তিন হাজারের বেশি বিদেশী বাংলাদেশে এসেছেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১২০ জন বিদেশী কক্সবাজার আসছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (টেকনাফ-উখিয়া) চাইলাউ মার্মা বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থার যে সকল বিদেশি কর্মীরা আমাদের এখানে আছেন তাদের বাসাগুলো চিহ্নিত করে তাদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে টহল জোরদার করেছি।’

রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আইওএম, রেডক্রস, সেভ দ্যা চিলড্রেন, ইউএস এইড, ইউকে এইড, কারিতাস ইন্টারন্যাশনালের পাশাপাশি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও অবস্থান করছেন এখানে। দিনভর বিভিন্ন স্থানে থাকলেও রাতে এসব বিদেশী থাকছেন কক্সবাজার সদরে। তাই হোটেল-মোটেলগুলোকে নিজেদের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

কক্সবাজারের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট লুৎফর রহমান আজাদ বলেন, ‘হোটেল মোটেলগুলোতে তাদেরকে নিজস্বভাবে নিরাপত্তা নেয়ার জন্য বলেছি পাশাপাশি আমাদের পুলিশ এবং গোয়েন্দারা সার্বক্ষণিকভাবে খোঁজখবর নিচ্ছে।’

তুরস্কের ফার্স্টলেডি এবং জর্ডানের রানীও উখিয়ার শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে গেছেন। সে সাথে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারাও ঘুরে গেছেন।

হলি আর্টিজানের ঘটনার পর যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের জন্য এদেশে সতর্কতা জারি করেছিলো সেসব দেশের নাগরিকরা এখন সাবলীলভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ জনপদে। তাদের কর্মব্যস্ততায় কাটছে আশ্রয় শিবিরগুলোতে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব বিদেশি নাগরিকদের জন্য কোন হুমকিও নেই। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

বিসিআরসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড- ২০২৫ এ ভূষিত হলেন পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক পিপিএম

পর্যটন খাতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ নাইমুল হক পিপিএম ময়মনসিংহ ...

সাজেদা বেগমকে গর্জনিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পন

শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি:: গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ...

সাংবাদিক জসিম আজাদের বসতভিটা দখলের ঘটনায় বাবু সহ ৩ জন কারাগারে

কক্সবাজারের উখিয়ায় সাংবাদিকের বসতভিটা দখলের অভিযোগে স্থানীয়ভাবে পরিচিত মাহফুজ উদ্দিন বাবু ও তাঁর দুই সহযোগীকে ...